সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত কোনো পোস্ট দেয়া ও লাইক-শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তে বলা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত এক পরিপত্র জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশ না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে।
সরকারি কর্মচারীদের সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে আট নির্দেশনা
বৃহস্পতিবার জারি করা ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ শীর্ষক পরিপত্রে সরকারি কর্মচারীদের ৮টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো-
এক. সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়- সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
দুই. এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে হবে যা জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী।
তিন. এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না- যা কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে অথবা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী। আবার এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক বা শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে- যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে
চার. এমন কোনো পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে- যা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো সার্ভিস বা পেশাকে হেয়প্রতিপন্ন করে।
পাঁচ. লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা যাবে না।
ছয়. এমন কোনো বিষয় লেখা, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে- যা জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে।
সাত. ভিত্তিহীন, অসত্য ও অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে।
আট. অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক ও শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যান্য মাধ্যমে এ ধরনের কোনো বিষয় শেয়ার, আপলোড, কমেন্ট বা লাইক করেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারী নিজে দায়ী থাকবেন এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি কর্মকর্তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানিয়ে ২০১৫ সালে নির্দেশনা জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওই নির্দেশনা পরিমার্জন করা হয়।